টাঙ্গুয়ার হাওর - পাহাড়ের কোলে পানির রাজ্য
ব্যস্ত কর্মজীবন থেকে একটু ছুটি পেলেই মন চাই শহরের বাইরে কোথাও যেতে। আর শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করার জন্য হাওর ভ্রমণের চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। কর্মজীবন থেকে একটু বিরতি নিতে ঘুরে আসতে পারেন এশিয়ার সবচেয়ে বড় হাওর টাঙ্গুয়া হাওর থেকে।
![]() |
হাওরের উত্তরে রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সুউচ্চ পাহাড়ের রাশিমালা। |
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়া হাওরের অবস্থান। হাওরের উত্তরে রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সুউচ্চ পাহাড়ের রাশিমালা। অন্য তিন দিকে সবুজ শ্যামল জলধারার গ্রাম্য প্রকৃতি। হাওরের নির্মল কোমল বিশুদ্ধ বাতাসে আপনার প্রাণটা জুড়িয়ে যাবে।
হাওরে ঘুরে বেড়ানোর একমাত্র বাহন ইঞ্জিনচালিত নৌকা। নৌকা ভাড়া করা যাবে এক দিন থেকে কয়েক দিনের জন্য। সদস্য বেশি হলে বড় নৌকাও পাওয়া যাবে। তাতেই কাটবে দিন রাত। খাওয়া থেকে শুরু করে সব। সকালে গিয়ে বিকালে ফিরে আসতে চাইলেও পাওয়া যাবে সেই অনুসারে নৌকা। সদস্য কম হলেও পাওয়া যাবে ছোট নৌকা। সময় অনুসারে ভাড়া ঠিকঠাক করে নেয়া যাবে।
এদিক সেদিক যেদিকেই ঘোরেন না কেন, সাগরের মত হাওড় যেমন শেষ হবে না; তেমনি দৃষ্টি সীমায় পাহাড়ও শেষ হবে না। মন চাইবে দুটোকেই পকেটে পুরে নিয়ে যাই সাথে করে। হাওরে গেলে শুধু আপনার মনটাই ভরবে না, শ্বাস প্রশ্বাসে মিলবে বিশুদ্ধ বাতাস। শহুরে ইট-কাঠ-পাথরের জীবনকে কিছু দিনের জন্য দূরে রাখতে, সবুজ-শ্যামল আর স্বচ্ছ পানির বহমান ধারায় নিজেকে প্রবাহিত করতে এ হাওরের জুড়ি মেলা ভার।
যেভাবে যাবেন
টাঙ্গুয়া হাওরে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে। সেখান থেকে দু’টি রাস্তায় যেতে পারেন টাঙ্গুয়া হাওরে। একটি হলো মোটরবাইক নিয়ে সুমানগঞ্জ থেকে বিশ্বম্ভরপুর, লাওরেরগড়, যাদুকাটা নদী ও বারিকের টিলা হয়ে টেকেরঘাটের নিলাদ্রী লেক পর্যন্ত। অন্য রোড হলো সুনামগঞ্জ থেকে সিএনজি বা প্রাইভেট যোগে গ্রামিণ আঁকাবাঁকা পথ ধরে তাহিরপুর উপজেলা শহরে। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় টাঙ্গুয়ার হাওর। দলের সঙ্গে ছেলে-মেয়ে উভয়ই থাকলে এই পথটাই সবচেয়ে ভালো।
No comments