শাহ আলম ভাইয়ের বট হালিম
ঢাকা শহরের আনাচে কানাচে অলিতে গলিতে ফুটপাতে হাজারো রকমের স্ট্রিটফুড দেখতে পাওয়া যায়। শুধু ঢাকা না সারা পৃথিবী জুড়েই এমন কোন শহর নেই যেখানে স্ট্রিটফুডের দেখা মিলবে না। তবে ফুটপাতের খাবার বা স্ট্রিটফুড নিয়ে আপনার যদি খুতখুতে ভাব থাকে সেটা সম্পূর্নই আপনার নিজের পছন্দ আর রুচির ব্যপার। স্ট্রিটফুড কতটা হাইজেনিক তা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো তাতে স্ট্রিট ফুডের স্পেশালিটি নষ্ট হয়। আসলে স্ট্রিট ফুডের বাহারি নাম চেহারা আর স্বাদটাই আসল কথা। আর যারা নিয়মিত স্ট্রিটফুড হান্ট করেন তারা জানেন স্ট্রিটফুড হান্ট একটা এডভেঞ্চার। সেরকমই এক এডভেঞ্চারের খবর জানাবো আজ, তুলে ধরবো শাহ আলম ভাইয়ের বট হালিম।
আপনি ঢাকা শহরের বাসিন্দা হলে এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে আপনি ইতোমধ্যে রহিম করিম যদু মদু হাজার রকমের হালিম খেয়েছেন। আর মামা হালিমতো স্বনামে খ্যাত। আপনি চাইলে আমাদের শাহ আলম ভাইকে শাহ আলম মামা বানিয়ে নিতে পারেন তাতে সে কিছু মনে করবে বলে আমার মনে হয় না।
শাহ আলম ভাইয়ের হালিম খেতে হলে আপনাকে আসতে হবে মিরপুরের শেওড়াপাড়ায়। শেওড়াপাড়া ওভার ব্রিজের যেপাশে মসজিদ, সেপাশে ঠিক মসজিদের গলিতে ঢুকতেই দেখা যাবে শাহ আলম ভাইয়ের হালিম। যেহেতু কোন দোকান বা সাইনবোর্ড নেই সেহেতু গলির মুখে বিশাল হাড়ি নিয়ে বসে থাকা যেকোন ভাইকেই শাহ আলম বলে ধরে নিতে পারেন।
শাহ আলম ভাইয়ের হালিম সম্পূর্নভাবে তার নিজের বাসায় তৈরি। রেসিপিটাও তার নিজের। আর এই হালিম পরিবেশনও করেন চমৎকারভাবে। মাংস বট আর সালাদ দিয়ে নিজ হাতে। শাহ আলম ভাইয়ের হালিমের কোন নাম নেই তাই আমরাই এর নাম দিয়েছি শাহ আলমের বট হালিম।
বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই হালিম। তবে বেশি দেরি করাটা ঠিক হবে না, তাহলে হালিমের ডাল ছাড়া আর কিছু না পাবার সম্ভাবনাই বেশি। এই হালিমের দাম ২০টাকা থেকে ৫০টাকা। দাম কম বেশি হবার কারন হলো হালিমের পরিমান আর মাংস বা বটের টুকরা। চাইলে পার্সেলও নিতে পারবেন। ছোট বক্স ৫০টাকা আর বড় বক্স ১০০টাকা।
শাহ আলম তার হালিমের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন প্রায় দশ বছর ধরে। প্রচুর মানুষ তার হালিমের ভক্ত। আপনিও যদি একজন স্ট্রিট ফুড হান্টার হয়ে থাকেন তবে এই হালিম আপনার ভালো লাগবেই।
No comments