কামরুল ভাইয়ের বট পরোটা - ফার্মগেট সেজান পয়েন্ট
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই পছন্দের একটি খাবার বট-পরোটা।বট মানে হলো গরুর ভুড়ি।বিভিন্ন মসলা মিশ্রিত সিদ্ধকরা বট বা ভুড়ি মচমচা করে তেলে ভেজে পরোটা দিয়ে খাওয়া হয়। স্ট্রিটফুড হিসেবে এর জনপ্রিয়তাও বেশ ভালো। বিশেষ করে ঢাকা শহরে এর ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়। রাস্তার পাশে, পার্কে-উদ্যানে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে বা জনসমাগম স্থানে অস্থায়ী দোকান বা টং দোকানে তৈরি ও বিক্রয় করা হয়।
এমনই কিছু অস্থায়ী দোকান আছে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায়। ফার্মগেট সেজান পয়েন্ট মার্কেটের সামনের রাস্তায় কয়েকটি বট-পরোটার টং দোকান আছে। বসার মতো কোনো সুব্যবস্থা নেই এখানে। আপনাকে দাঁড়িয়েই খেতে হবে। এসব দোকানে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে বিক্রি শুরু হয় বট-পরোটা।
ফার্মগেট এলাকায় যেকটি বট পরোটার দোকান আছে তার মধ্যে কামরুল ভাইয়ের দোকান আমার খুব ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বড় কথা এখানে পরিস্কার সয়াবিন তেলে বট ও পরোটা ভাজা হয়।যারা অস্বাস্থ্যকর তেলে ভাজা হয় ভেবে রাস্তার এইসব দোকান থেকে খেতে চান না, তারা একবার এখানে গিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন।তাছাড়া কামরুলের দোকানটিও বেশ পরিস্কার আর পরিবেশন ভালো। কামরুলের দোকান হলেও এ টংটি চালায় মূলত দুই পিচ্চি রিংকু আর বাবুল। রিংকু বট ভাজা আর রোল তৈরিতে ওস্তাদ আর বাবুলের কাজ হলো পরিবেশন করা। যদিও বাবুল পরিবেশনের পাশাপাশি কামরুল ভাইয়ের চোখ এড়িয়ে পটাপট বট খেতে থাকে। লুকিয়ে বট খাবার ফলে বাবুলের পেট একটু বড় আর সে নিজেও বেশ মোটাসোটা। কামরুল ভাইয়ের বট পরোটার স্বাদ ভালো, রিংকু আর বাবুলের খুনসুটি দেখতে দেখতে এই খাবার খেতে আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।
আপনাদের সুবিদার্থে এই বট-পরোটার দামটা একটু জানিয়ে রাখি। এখানে প্রতি প্লেট বট বিক্রি হয় ২০ টাকায়। আর পরোটা বিক্রি হয় ১০ টাকায়। এছাড়া আপনি চাইলে রোল বানিয়েও খেতে পারেন। পরোটার ভেতরে বট আর সালাদ দিয়ে বানানো হয় এই রোল। সাইজভেদে রোলের দাম পড়বে ৩০টাকা থেকে ৫০টাকা। লোভনীয় এই খাবারটির দাম খুব একটা বেশি নয়। তাই যে কোনো দিনই খেয়ে আসতে পারেন এই খাবারটি। আমার ধারণা একবার খেলে আপনিও এই বট-পরোটার প্রেমে পড়ে যাবেন।
No comments