বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাচীন সভ্যতা - পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার

বরেন্দ্র অঞ্চল ঘিরে রয়েছে সবুজের সমারহ প্রাচীন কালে এই অঞ্চলে বিভিন্ন নদীকে পাশে রেখে গড়ে উঠেছিলো সভ্যতা তেমনি এক প্রাচীন সভ্যতা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার নওগাঁ শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বদলগাছী ইউনিয়নে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার এর নজরকারা রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করবে আর যত কষ্টই হোক যাত্রাপথের সব ক্লান্তি দূর করে দেবে 
এক প্রাচীন সভ্যতা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেয়
 
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেয়
প্রাচীন এই বৌদ্ধ বিহারটির মূল নাম সোমপুর বিহার কিন্তু পাহাড়ের মত উঁচু বলে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে পাহাড়পুর ফলে সবাই এটাকে পাহাড়পুর বিহার বলে জানে এখানে গেলে আপনার এক অন্যরকম অনুভূতি হবে আপনি হারিয়ে যাবেন সেই প্রাচীন যুগে শুধু বইয়ের পাতায় পড়ে কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় দেখে সোমপুর বা পাহাড়পুর বিহারের সৌর্ন্দয্য অনুভব করা সহজ নয় াএর আসল রুপ দেখতে হলে এখানে আপনাকে যেতেই হবে 


ধ্বংসাবশেষ দেখে বোঝা য়ায় এর চারদিক চওড়া সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল সীমানা দেয়াল বরাবর অভ্যন্তরভাগে সারিবদ্ধভাবে ছোট ছোট কক্ষ ছিল বিহারের অন্তর্বর্তী স্থানের উন্মুক্ত চত্তরের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখন এটি ২১মিটার উঁচু হলেও প্রকৃতপক্ষে মূল মন্দিরটি কমপক্ষে ৩০ মিটার উঁচু ছিল। বিহারের মধ্যবর্তী উন্মুক্ত অঙ্গনে আরো কিছু ইমারতের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়এদের মাঝে বেশ কিছু ইমারতের বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। 
পাহাড়পুর বিহারের চারদিক চওড়া সীমানা প্রাচীর দেয়া ঘেরা ছিল
বৌদ্ধ বিহারটির পাশেই আছে পাহাড়পুর জাদুঘর এই জাদুঘরে বৌদ্ধ বিহার থেকে পাওয়া বিভিন্ন মূর্তি সংরক্ষিত করা আছে এই জাদুঘরে গেলে আপনার জানা হয়ে যাবে বৌদ্ধ বিহারের ইতিহাস

No comments

Powered by Blogger.