মল্লিকপুরের বটগাছ - এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ বটগাছ
বটগাছ এমনিতেই বড়। বিশাল জায়গা নিয়ে এ গাছ তার ডালপালা বিস্তৃত করে। কিন্তু এই জায়গা যদি দুই একর নিয়ে হয় তাহলে সেই গাছ কত বড়! হ্যাঁ, এমনই একটি বটগাছের অবস্থান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুইতলা মল্লিকপুরে। ঝিনাদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে চিকন পিচের রাস্তা মল্লিকপুর ছুঁয়েছে। ১২ কিলোমিটার এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে সবুজের পাহাড়। যে সবুজের শেষ নেই। এটি সুইতলা মল্লিকপুরের বটগাছ। ৮নং মালিয়াট ইউনিয়নের বেথুলী মৌজায় বর্তমানে ১১ একর জমি জুড়ে রয়েছে এর অস্তিত্ব।
৪ থেকে ৫ বিঘার ওপর মাত্র একটি বটগাছ। এই গাছটি প্রায় শতবর্ষ পুরোনো। পুরোনো আদি গুড়িটি এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। বটগাছটির যে সমস্ত ঝুরি নেমেছিল সেগুলোই এখন আলাদা আলাদা গাছ হয়ে আছে। বটগাছের মাঝে মাঝে এখন অন্য গাছও হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের মুখে গাছটি সম্পর্কে কথিত আছে ক’বছর আগে কুদরতউল্লা নামে একজন গাছের ডাল কাটলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তবমি। কুদরতের স্ত্রী বট গাছ আগলে ধরে কান্নাকাটি করে। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চায়। অবশেষে তার স্বামী সুস্থ হয়ে ওঠে। এ রকম অনেক গল্প মল্লিকপুরবাসীদের কাছে শোনা যায়।
এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ্ এ বটগাছটির ঐতিহাসিক দিক বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থী আসেন এখানে। গুরুত্ব বিবেচনা করে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ বটবৃক্ষটির পাশে একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করেন ১৯৯০ সালে। বিস্তৃত বটগাছটির দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখির কলরব, ছায়াঘেরা শীতল পরিবেশ মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
No comments