গাছ-গাছালিতে ভরা শ্যামল বাংলা রিসোর্ট - Hosted By ভ্রমণ বন্ধু
Promo Video
বলুনতো শেষ কবে প্রিয় মানুষটার সাথে ঘুরতে বেরিয়েছেন। শেষ কবে আদরের সন্তানকে নিয়ে সবুজে ঘেরা শান্ত প্রকৃতিতে বিচরণ করেছেন? মনে নেই তাই তো? জানেন তো প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানোর মত আনন্দ অন্য কোন কিছুতেই পাওয়া যায় না। তাই আজই বেরিয়ে পড়ুন। ঘুরে আসুন পাখ-পাখালি গাছ-গাছালিতে ভরা শ্যামল বাংলা রিসোর্ট থেকে। যাবার আগে শ্যামল বাংলা রিসোর্টটির বিস্তারিত জেনে নিন।
মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থান শ্যামল বাংলা রিসোর্টের। বসিলা রোড হয়ে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া তারানগরে হাতের বামে পড়বে রিসোর্টটি। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডেই পাবেন সিএনজি। সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা আর রিজার্ভ গেলে ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা। এছাড়া নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। রিসোর্টের সামনের রাস্তার বিপরীতে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা আছে। মাত্র পনেরো থেকে কুড়ি মিনিটে পৌঁছে যাবেন রিসোর্টে। তাই মাত্র সাত কিলো দূরত্বের সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গাটিকে ঢাকার বাইরে বলাটা সমীচীন বলে মনে হয় না।
শ্যামল বাংলা রিসোর্টটি সব দিক থেকেই শিশু বান্ধব। রিসোর্টে ঢুকতেই হাতের বামে পড়বে বাচ্চাদের জন্য কিডস জোন। রয়েছে টয় ট্রেন, সাম্পান এবং নাগরদোলা। রিসোর্টের প্রাচীরের গায়ে তুলে ধরা হয়েছে দেশ বিদেশের নানান বিখ্যাত জায়গার টেরাকোটা ছবি এবং এর বিস্তারিত তথ্য। যা থেকে খুব সহজেই এসব বিখ্যাত জায়গা সম্পর্কে বাচ্চারা জানতে ও শিখতে পারবে।
পুরো রিসোর্টটি ভীষন সুন্দর এবং সবুজ। রয়েছে প্রচুর রং বেরংয়ের ফুলের গাছ। রয়েছে এ্যাকুয়ারিয়াম ভর্তি নানান জাতের কালারফুল মাছ আর খাঁচা ভরা পোষা পাখি। সারাক্ষণ তারা কিচিরমিচির করে। আর তাই বাচ্চাদের কাছে এ রিসোর্টটি একটু বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে। আর যেহেতু বাচ্চাদের আগমন এখানে বেশি ঘটে তাই পুরো রিসোর্টটি স্ট্রিক্টলি ধুমপান মুক্ত রাখা হয়েছে।
দুটি আলাদা সুইমিংপুল রয়েছে এই রিসোর্টে। বুঝতেই পারছেন একটি ছেলেদের আর একটি মেয়েদের। মানে ছেলে মেয়ে কারোরই একসাথে সুইম করার সুযোগ এখানে সচেতনভাবেই রাখা হয়নি। দুটি পুলই অসম্ভব সুন্দর। সাগরের নীল জল যেন খেলা করে এখানে। বন্ধু বান্ধবীর সাথে মেতে থাকতে পারবেন এখানে। তবে কিছুটা রেস্ট্রিকশন থাকায় মেয়েদের পুলে ভীড় কম হয়।
রিসোর্টের মুল ভবনটি ডুপ্লেক্স স্টাইলে করা হয়েছে। খুবই মনোমুগ্ধকর। আলাদা করে ফ্যামিলি জোন রাখা হয়েছে পরিবারের সকলের একসাথে সময় কাটানোর জন্যে। রয়েছে ডিলাক্স সুপার ডিলাক্স এবং প্রিমিয়াম রুম সার্ভিস। রুমগুলো খুব সুন্দর সাজানো গোছানো। বেশ বড়সড় কন্ফারেন্স রুম রয়েছে। আছে জুস কর্নার এবং রিসোর্টের নিজস্ব ফুড কোর্ট। থাই চায়নিজ ইন্ডিয়ান এবং বাংলাসহ সবধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে। দাম নিয়ন্ত্রনের মধ্যেই। তবে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে ঢুকতে পারবেননা এখানে।
প্রায় তিন একর জমির উপর গড়ে উঠেছে শ্যামল বাংলা রিসোর্ট। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এর আয়তন একেবারেই ছোট নয়। ডে লং ট্যুরের জন্য এ রিসোর্টটি অসাধারন সিলেকশন হতে পারে। গ্রুপ ট্যুর বা পিকনিক এর জন্য সব রকম সুবিধাই রয়েছে এখানে। রয়েছে কনফারেন্স রুম, মিটিং, ট্রেনিং অথবা ঘরোয়া অনুষ্ঠান সবই আয়োজন করার মতো সুব্যবস্থা।
নাইট স্টে করার ক্ষেত্রে এখানে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। কাপলদের অবশ্যই পর্যাপ্ত কাগজপত্র ও প্রমাণ দেখাতে হবে। এছাড়া সর্বনিম্ন চারটি রুম বুকিং দিয়ে আপনারা নাইট স্টে করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবস্যই গেটটুগেদার বা ফ্যামিলি রিইউনিয়ন হলে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এবার আসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খরচ নিয়ে। রিসোর্টে প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। বিভিন্ন রাইডের মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা আর সুইমিংপুলে ঘন্টা প্রতি খরচ পড়বে ২০০ টাকা। এছাড়া ১৮০০ থেকে ৬৫০০ টাকায় ডিলাক্স সুপার ডিলাক্স এবং প্রিমিয়াম রুম বুকিং দিতে পারবেন প্রতি রাতের জন্য। এছাড়া রিসোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বুকিংসের সুবিধা পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন ওকেশনে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ নানান ডিসকাউন্ট অফার ও প্যাকেজ দিয়ে থাকে।
সারা সপ্তাহের পরিশ্রমের পর একটু বিনোদনের ব্যবস্থা না রাখলে জীবনটা যে বিষাদে কাটবে আপনার। আর তাই বোরিং লাইফকে একটু অ্যাডভেঞ্চারাস করতে, পরিবারকে সময় দিতে, মনকে প্রফুল্ল রাখতে চলে যান শ্যামল বাংলা রিসোর্টে। সবুজ স্নিগ্ধ পরিবেশ আপনার প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনকে সামান্য হলেও আন্দোলিত করতে সক্ষম হবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হোটেল মোটেল রিসোর্ট এর বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন vromonbondhu.com আর ভিডিও দেখতে হলে সাবস্ক্রাইব করুন ভ্রমণবন্ধুর ইউটিউব চ্যানেল।
শ্যমল বাংলা রিসোর্টটি সম্পর্কে আরো জানতে অথবা সহজে আর কম খরচে বুকিং করতে ভ্রমনবন্ধুর হট নম্বরে কল করুন। +৮৮০১৮১১৭৯৫৮৫০
Tags
Gallery - Photos
Items Reviewed - 1
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.
Ali Faisal Dip
ঢাকার খুব কাছে, মানে একটু বেশি কাছে। চাইলেই যখন তখন ঘুরে আসা যায়।
January 25, 2019 9:46 pm