প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি ধুপপানি ঝর্ণা - Hosted By sumaya linda
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি রাঙ্গামাটি। এর চারিদিকে পাহাড় আর ঝর্ণা। যেদিকে দু’চোখ যায় এর অপরূপ সৌন্দর্যে মন ভরে যায়। রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়াছড়ি নামক স্থানে ধুপপানি ঝর্ণা অবস্থিত। স্থানীয়রা দুপপানি ঝর্না নামেও ডেকে থাকে।
স্থানীয় শব্দে ধুপ অর্থ সাদা, আর পানি যুক্ত করে এটিকে সাদা পানির ঝর্ণাও বলা হয়। ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি যখন অনেক উচু থেকে আছড়ে পড়ে তখন তা শুধু সাদাই দেখা যায়। সমতল ভূমি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৫০ মিটার। ঝর্ণা থেকে পানি আছড়ে পড়ার শব্দ প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়।
অপরূপ সৌন্দর্যের আধার হওয়া সত্তেও ঝর্ণাটি লোক চক্ষুর অন্তরালেই ছিলো। ২০০০ সালের দিকে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী গভীর অরণ্যে ধুপপানি ঝর্ণার নিচে ধ্যান শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ওই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে সেবা করতে গেলে এই ঝর্ণাটি জনসম্মুখে পরিচিতি লাভ করে।
এই ঝর্ণার ওপরে আরেকজন সাধু তার আশ্রমে ধ্যান করেন। স্থানীয় ভাষায় এই ধর্মযাজক সাধুকে বলা হয় ‘ভান্তে’। এই ভান্তে কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি পছন্দ করেন না। তিনি সপ্তাহের ছয় দিন ধ্যান করে শুধু রবিবারে খাবার খাওয়ার জন্য নিচে নেমে আসেন। তাই শুধু রবিবারেই ঝর্ণাটায় লোকজনের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হওয়ায় ঝর্ণার স্থানে অতিরিক্ত শব্দ না করার শর্তে স্থানটিতে সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতেও প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
পার্বত্য অঞ্চলের অংশ হওয়ায় বিলাইছড়িতে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চল থেকে আসা মানুষদের প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি, অথবা যে কোনো পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হয়; যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রদর্শন করলে ওই সকল এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
Tags
Gallery - Photos
Items Reviewed - 1
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.
Ali Faisal Dip
এখানে কি সারা বছর ঘুরতে যাওয়া যায় ?
January 25, 2019 5:26 pm