লুর্দের রাণী মা মারিয়া ধর্মপল্লী - Hosted By S. faisal
বনলতা সেন, চলনবিল এবং কাঁচাগোল্লার সুখ্যাতির শহর নাটোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নানান নিদর্শনে ভরা। তাইতো ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে নাটোর জেলার নামটি এগিয়ে থাকে। বনলতা সেনের নাটোরে এসে একটু শান্তির খোঁজে ঘুরে বেড়ান ভ্রমণ পিপাসুরা। এখানকার সকল দর্শনীয় স্থানগুলো সবসময়ই পর্যটকদের ভিরে মুখরিত হয়ে থাকে। আর এই নাটোর ভ্রমণকালীন সময়ে ঘুরে আসার মতো একটি জায়গা ‘লুর্দের রাণী মা মারিয়ার ধর্মপল্লী’।
স্থানীয়ভাবে খ্রিস্টধর্ম বিশ্বাসী জনসাধারণকে পরিচালনা এবং আধ্যাত্মিক পরিচর্যার উদ্দেশ্যে গঠিত সাংগঠনিক কর্মএলাকাকে ধর্মপল্লী বলা হয়। আর নাটোরের এই ‘লুর্দের রাণী মা মারিয়া ধর্মপল্লী’ যীশু খ্রিস্টের জননী মরিয়ম-এর পূণ্য নামের স্মৃতিতে উৎসর্গিত।
নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার ৫টি, ৫ নং মাঝগ্রাম ইউনিয়ন ও ১ নং জোয়াড়ীর ২টি; এই মোট ৭টি গ্রাম নিয়ে এই ধর্ম পল্লীটি প্রতিষ্ঠিত। ঐতিহ্যবাহী বড়াল নদীর দক্ষিণে বনপাড়া গ্রামেই ধর্মপল্লীর গির্জাটি অবস্থিত। এখানে ১৯৪০ সালে প্রথম স্বর্গীয় ফাদার থমাস কাত্তানের (পিমে) নামে একজন ইতালীয় ধর্মযাজক সর্ব প্রথম আসেন। আর এখানকার গির্জাঘরটি স্থাপন করা হয় ১৯৫৮ সালে। এই ধর্মপল্লী পরিচালনা ও পরিচর্চার দায়িত্বে দুইজন পুরোহিত নিয়োজিত রয়েছেন।
ধর্মপল্লীর অভ্যন্তরীণ গ্রামগুলোতে প্রায় ৭ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মের অনুসারী মানুষ বাস করে। ধর্মপল্লী বা গির্জা প্রশাসনের অধীনে রয়েছে একটি হাই স্কুল ও দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া আনুমানিক ৪৫০ দরিদ্র আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রী থাকার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ছাত্র ও ছাত্রীনিবাস। স্থানীয় দরিদ্র নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি সেলাই কেন্দ্র রয়েছে। ধর্মপল্লী কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও একান্ত সহযোগিতায় এখানে অনেক ব্রীজ-কালভার্ট ও রাস্তাঘাট নির্মিত হয়েছে। এই এলাকার সব খাতের উন্নয়নে এখানকার গির্জা কর্তৃপক্ষ ও খ্রিস্ট বিশ্বাসীগণের রয়েছে অনেক বড় ভূমিকা।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকার গাবতলী বা কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল থেকে নাটোরের বাস পাওয়া যায়। বাস থেকে বনপাড়াতে নামতে হবে। আর নাটোর সদর থেকে বনপাড়া আসার জন্য অন্য যেকোনো বাস পাওয়া যাবে। নাটোরের বনপাড়ায় নেমে রিকশা বা অটোতে যাওয়া যাবে লুর্দের রাণী মা মারিয়া ধর্মপল্লী।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.