বর্তমানে প্রায় মানুষের মাঝেই ভ্রমণপিপাসা দেখা যায়। ভ্রমণপপাসু এসব মানুষ একটু সাগর, পাহাড়, প্রকৃতি আর ঝর্ণা প্রেমি হয়ে থাকেন। সময়-সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়েন এসব জায়গা ঘরে দেখতে। তবে পাহাড়-ঝর্ণা; দুটোর আলিঙ্গন একসঙ্গে পেতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে।
এখানে একসঙ্গে বেশকিছু ঝর্ণার দেখা পাবেন। তার মধ্যে হাজাছড়া ঝর্ণা একটি। এটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট এলাকায় অবস্থিত। মূল রাস্তা থেকে ১৫ মিনিট ঝিরিপথ ধরে হেঁটে গেলেই পৌঁছে যাবেন ঝর্ণার পাদদেশে। সাজেক ভ্যালী গামী পর্যটকদের কাছে বর্তমানে ঝর্নাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
হাজাছড়া লোকালয়ের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও ঝর্ণার পরিবেশ এখনো অনেকটা বুনো। ঝর্ণার হীমশিতল পানি আর সবুজেঘেরা ঝিরিপথ পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শীতকালে এর পানির প্রবাহ কমে যায়। আর বর্ষায় হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। এখানে মূলত সারাবছরই কম-বেশি পানি থাকে।
বর্ষার সময় ঝর্ণার ঝিরিপথে পানি তুলনামূলক বেড়ে যায় এবং পথটি কর্দমাক্ত থাকে। তাই পর্যটকদের ভালো মানের গ্রিপযুক্ত ট্র্যাকিং জুতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয় এবং সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়।
এর নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, হাজাছড়া নামক এলাকা হতে ঝর্ণার উৎপত্তি হওয়ায় এটির নাম হয়েছে ‘হাজাছড়া ঝর্ণা’। শুকনাছড়া ঝর্ণা বা দশ নাম্বার ঝর্ণা নামেও পরিচিত এই ঝর্ণাটি। তবে স্থানীয় পাহাড়িদের দেয়া নাম হল চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্ণা; যার অর্থ মন প্রশান্তি ঝর্ণা।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকার গাবতলী-ফকিরাপুল-সায়েদাবাদ থেকে প্রতিদিন দিনরাত খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালার বিভিন্ন পরিবহনের এসি, নন-এসি বাস ছেড়ে যায়। দীঘিনালা থেকে অটোবাইকে হাজাছড়া যেতে সময় লাগবে ২০ থেকে ৪০ মিনিট।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.