পদ্মার কোলে প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য্যে ছেয়ে থাকা পাকশী-ঈশ্বরদী বর্তমানে ভ্রমণের অন্যতম জনপ্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতিচিহ্নে সমৃদ্ধ এই স্থানটি পযটনের মনোরম স্পটে সমৃদ্ধ। এখানে রূপসী পদ্মার ঢেউয়ের কলধ্বনি, চারদিকে সবুজের বেস্টনী ও উত্তাল হাওয়ায় যেকারো মন সতেজ হয়ে উঠবে। এছাড়া এখানে রয়েছে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু লালন শাহ সেতু।
লালন শাহ সেতু পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গত পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন পদ্মা নদীর উপর নির্মিত। ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটি নির্মাণ শুরু হয় ২০০৩ সালে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। চীনের প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো এর নির্মাণ কাজ করেন। মোট স্প্যনের সংখ্যা ১৭টি।
২০০৪ সালের ১৮ মে সেতুটি সম্পূর্নভাবে যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেতুটি দুই লাইন বিশিষ্ট। সেতুর পশ্চিম পাশে ৬.০০ কিলোমিটার ভেড়ামারা-কুষ্টিয়া এবং পূর্ব পাশে পাকশী-ঈশ্বরদী অবস্থিত।
সেতুটি তৈরীর ফলে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ জেলার মানুষদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। এই সেতু বঙ্গবন্ধু সেতুর অনুরুপ বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিতীয় সড়ক সেতু। লালন শাহ্ সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থা প্রসারে অনেক অবদান রেখে চলেছে।
যেভাবে যাবেন:
পাবনা জেলা সদর থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার দূরত্ব আনুমানিক ২৫-৩০ কিলোমিটার। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। ঈশ্বরদী উপজেলার ১টি ইউনিয়ন ও গ্রামের নাম পাকশী। পাকশী রুপপুর প্রকল্পের পাশে এবং পদ্মা নদীর তীরে পাকশী লালন শাহ সেতু অবস্থান। পাবনা জেলা শহর থেকে সড়কপথে দাশুরিয়া মোড় হয়ে যাওয়া যায় লালন শাহ্ সেতুতে।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.