নাগরিক জীবনের সকল ব্যস্ততা দূরে ফেলে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে প্রায়ই আমাদের মন হাঁপিয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এমনই একটি স্থান নোয়াখালীর মুছাপুর ক্লোজার। দেখতে কিছুটা সমুদ্র সৈকতের মতো হওয়ায় এই নদীপাড়কে ‘মিনি কক্সবাজার’ বলা হয়ে থাকে।
মুছাপুর ক্লোজার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে নির্মিত। প্রথম দেখাতে মনে হবে এটি যেন এক সৈকত। তবে কিছুক্ষণ পরে ভুল ভাঙলে খুঁজে পাবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ। মুছাপুর নদীর তীরে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই ক্লোজার।
সাগরে যখন জোয়ারের পানি উতলে উঠে, তখন অন্যরকম এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয় মুছাপুর ক্লোজারের এই ফেনী নদীতে। কয়েক কিলোমিটার প্রস্থের এই ক্লোজারের যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। সেইসাথে দূরে ঢেউয়ের তালে তালে দুলতে থাকা নৌকাগুলো মনকেও দোলা দিয়ে যায়।
এখানে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি, নিবিড় বন, গ্রামীণ পরিবেশ, পাখির কোলাহল, মৎস্যজীবি মানুষদের জীবন সব মিলিয়ে অন্যরকম এক অনুভূতির সৃষ্টি করে প্রকৃতিপেমী মানুষদের মনে। এখানে আসলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল, বিশাল সমুদ্র সৈকত এর সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করবে। এছাড়া ট্রলারে কিংবা স্পীডবোটে করে ঘুরতেও যেতে পারবেন।
আরেকটি কথা, নোয়াখালী ভ্রমণে গেলে চেষ্টা করবেন নারকেলের নাড়ু, ম্যারা ও খোলাজা পিঠা খাওয়ার। এগুলো নোয়াখালীর বিখ্যাত খাবার। যারা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন তারা সব সময়ই চেষ্টা করেন যে কোনো জায়গার বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো চেকে দেখার। বলতে পারেন এতে ভ্রমণ পরিপূর্ণতা পায়। তাই নোয়াখালী গেলে এই খাবারগুলো খেতে মিস করবেন না।
যেভাবে যাবেন:
প্রথমে ঢাকা থেকে যে কোনো বাসে নোয়াখালী যেতে হবে। নোয়াখালী জেলা শহর থেকে যে কোনো গাড়িতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট বাজারে চলে আসতে হবে। বসুরহাট থেকে যাতায়াতে মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত দুই-তিনটি পাকা সড়ক রয়েছে। ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা হয়েও আসতে পারেন এই মুছাপুর ক্লোজারে।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.