গাইবান্ধার ভরতখালীর ঐতিহ্যবাহী কাষ্ঠ কালী মন্দির - Hosted By Ali Faisal Dip
দু’শ বছরেরও বেশি সময় ধরে আজও মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীর ঐতিহ্যবাহী কাষ্ঠ কালী মন্দির। গাইবান্ধাকে আমাদের সারা দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান বলা হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর পুরো বৈশাখ জুড়ে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এখানে পূজা দেয়া হয়, সেই সাথে মেলাও বসে।
এখানে আমদের দেশ ছাড়াও আশেপাশের দেশ (যেমন: ভারত আর নেপাল) থেকে প্রচুর ভক্তরা আসেন। পূজার সময় ১৫শ’ পাঠা বলি এবং ৩ হাজার জোড়ারও বেশি কবুতর উৎসর্গ করা হয়। তবে সারা বছর জুড়েই এখানে ভক্তরা আসতে থাকেন পূজা দিতে।
এই মন্দির সম্পর্কে লিখিত কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি, তবে লোকমুখে কিছু প্রচলিত কাহিনী রয়েছে। প্রায় দু’শ বছরের বেশি পুরোনো এই কালী মন্দিরটি। লোক মুখে শোনা যায়, ঘাঘট নদীতে ভেসে আসা একটি কাঠের গুঁড়ি ভরতখালীতে এসে আটকে যায়। সেই কাঠ তুলে এনে সাধারণ কাঠ মনে করে এক ব্যক্তি তাতে কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে সাথে সাথে রক্ত বেরিয়ে আসে। সেই দিন রাতেই সেখানকার জমিদার রমনীকান্ত রায় স্বপ্নে কালী দেবীর আদেশ পান যে, ‘আমি তোর ঘাটে এসেছি, তুই সমাদর করে পূজা দে’।
তখন জমিদার কারিগর এনে সেই কাঠের খণ্ডটি দিয়ে কালী মূর্তি তৈরি করেন এবং পূজা অর্চনা করেন। প্রথমদিকে পূজা হতো একটি খড়ের ঘরে। পরে জমিদার মন্দিরটি সুন্দর করে তৈরি করেন। জাগ্রত কালী ধারণা করেই এখানে মানুষ তাদের মনোবাসনা নিয়ে দেবীর চরণে পাঠা বলি দেন। বিভিন্ন মনোবাসনা নিয়ে ভক্তরা পূজা দিতে আসে। বলা হয়ে থাকে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ায় আজও মানুষ ভিড় করে এখানে পূজা দেয়।
যেভাবে যাবেন:
গাইবান্ধা জেলার রেলওয়ে স্টেশনে আসার পর ট্রেনে বা বাসে বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে উত্তর পূর্ব দিকে ৮-১০ কিলোমিটার যেতে হবে।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.