গোপালগঞ্জ; জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান - Hosted By shafi_saykat
ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত গোপালগঞ্জ জেলার সভ্যতা-সাংস্কৃতিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে মধুমতির কোল ঘেঁষে। পূর্বে এ অঞ্চলটি বঙ্গ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। মোঘল এবং সুলতানী আমলে এই এলাকা হিন্দু রাজারা শাসন করে গেছেন।
মাদারীপুর মহকুমায় ১৮৭২ সালে প্রথম গোপালগঞ্জ নামক একটি থানা গঠন করা হয়। পরে ১৯০৯ সালে এই মহকুমাকে আলাদা করে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। এই মহকুমার প্রথম প্রশাসক ছিলেন জনাব সুরেশ চন্দ্র সেন। আর গোপালগঞ্জে সিভিল কোর্ট চালু হয়েছিল ১৯২৫ সালে।
১৯৮৪ সালে গোপালগঞ্জ মহকুমা থেকে জেলায় আত্মপ্রকাশ করে। ৫টি উপজেলা, ৫টি থানা ও ৪টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয় গোপালগঞ্জ জেলা।
গোপালগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির বর্ণনা দিতে গেলে প্রথমেই যেটি সামনে আসে তা হলো গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর গ্রামে অবস্থিত বিখ্যাত জমিদার বাড়ীর নাম। তারপর রয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বাড়ী, ঐতিহ্যবাহী কোর্ট মসজিদ ও এতিমখানা এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের পবিত্র স্থান ঐতিহ্যবাহী ওড়াকান্দি মেলা প্রাঙ্গন। ঐতিহ্যবাহী ওড়াকান্দি মেলাটি কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলায় প্রতি বছর লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে।
গোপালগঞ্জ জেলা সবার কাছে বেশি পরিচিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান হিসেবে। জাতির পিতার মৃত্যুর পর তাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গী পাড়ায় সমাধিস্থ করা হয়। পরে সেখানেই তৈরি করা হয় জাতির জনকের সমাধি সৌধ।
গোপালগঞ্জ জেলায় বেশ অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু স্থান হলো টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স, দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ী, সেন্ট মথুরানাথের সমাধি, শ্রীধাম ওড়াকান্দি, ধর্মরায়ের বাড়ি, মধুমতি নদী, শুকদেবের আশ্রম, সুকতাইল মঠবাড়ি, হিরন্যকান্দী আমগাছ ও বাঘিয়ার বিল। এসব স্থান দেখতে এই জেলায় ভ্রমণে যেতে পারেন।
আর বর্ষাকালে গোপালগঞ্জে ভ্রমণে গেলে বাড়তি হিসেবে শাপলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন। জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার খাল-বিলের পানিতে ফুঁটে থাকে অজস্র লাল শাপলা। সে এক অভুতপূর্ব দৃশ্য। চোখ জুড়ানো সেই দৃশ্য দেখলে চারিদিকে সবুজ পাতার মাঝে লাল শাপলা ফুলকে মনে হবে আরেকটি বাংলাদেশ।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকার সায়েদাবাদ ও গাবতলী থেকে নিয়মিত গোপালগঞ্জে বাস চলাচল করে। সায়েদাবাদ থেকে মুন্সীগঞ্জ-মাওয়া হয়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস, মধুমতী পরিবহন, দোলা পরিবহন, বনফুল পরিবহন এবং গাবতলী থেকে পাটুরিয়া-ফরিদপুর হয়ে কমফোর্টলাইন, পলাশ পরিবহন ইত্যাদি বাস চলাচল করে।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.