গাইবান্ধা, বিভিন্ন শাসনামলের স্মৃতি বিজড়িত স্থান - Hosted By sumaya linda
বিভিন্ন শাসনামলের স্মৃতি বিজড়িত স্থান গাইবান্ধা জেলা। ইংরেজ, মোঘল থেকে শুরু করে হিন্দু, বৌদ্ধ সবার দ্বারা শাসিত হয়েছে জেলাটি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই জেলার ভুখণ্ড ছিল নদীর তলদেশে। কাল পরিক্রমায় তা নদীবাহিত পলিতে ভরাট হয় যায়। ধারণা করা হয় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের দ্বারা নদী তলদেশের উৎপত্তি ঘটে এবং স্থলভূমিতে পরিণত হয়। যমুনা নদী, তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্রর পলি মাটি থেকেই আজকের গাইবান্ধা জেলার উত্থান।
গাইবান্ধা জেলার নামকরণ নিয়ে যে নির্ভরযোগ্য কাহিনীটি প্রচলিত আছে সেটি হল, বহু পূর্বে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকাটি ছিল বিরাট রাজার রাজধানী। এই বিরাট রাজার প্রায় ৬০ (ষাট) হাজার গাভী ছিল। আর তিনি তার গাভীগুলো বাধার স্থান হিবেবে ব্যবহার করতেন এই এলাকাটি। যা থেকে পরবর্তীকালে গাইবান্ধা নামটি এসেছে। ১৯৮৪ গাইবান্ধা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
প্রায় ৫ হাজার ২শ’ বছরের প্রাচীন এই গাইবান্ধা জেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তার মধ্যে বালাসি ঘাট, জামালপুর শাহী মসদিজ, এসকেএস ইন, ড্রিমল্যান্ড এডুকেশন সেন্টার, গাইবান্ধা পৌর পার্ক, হযরত শাহ জামাল (রাঃ) মাজার শরীফ উল্লেখযোগ্য।
এসব দর্শনীয় জায়গা ছাড়াও এই গাইবান্ধা জেলায় কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। সেগুলো হল- মীরের বাগানের ঐতিহাসিক শাহ্ সুলতান গাজীর মসজিদ, রাজাবিরাট প্রসাদ, ভরতখালী কাষ্ঠ মন্দির, বামনডাঙ্গার জমিদার বাড়ী, বর্ধন কুঠি এবং নল ডাঙার জমিদার বাড়ি। এসব ঐতিহাসিক জায়গা দেখলে এই জেলার ইতিহাস সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পাওয়া যাবে।
আর হাতে সময় থাকলে ‘ফেন্ডশিপ সেন্টার’টিও ঘুরে দেখে আসতে পারেন। সম্পূর্ণ আধুনিক এই স্থাপত্যটি গড়ে তোলা হয়েছে মাটির নিচে। ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারটি স্থাপত্য শিল্পে এক অনবদ্য সৃষ্টি। ভবনের ভূমি সমতল ছাদে লাগানো হয়েছে নানা জাতের ঘাস। ওপর দিক থেকে দেখলে অনেকটা মহাস্থানগড়ের প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের মতো দেখায়।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.