খাগড়াছড়ি; পাহাড়-ঝর্ণার জেলা - Hosted By sumaya linda
খাগড়াছড়ি একটি পার্বত্য জেলা। ১৮৬০ সালে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান; এই তিন পার্বত্য অঞ্চলকে নিয়ে গঠন করা হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা। তবে ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়িকে পৃথক জেলা হিসেবে গঠন করা হয়।
৯টি উপজেলা (খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি) ও ৩টি পৌরসভা (খাগড়াছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়) নিয়ে গঠিত হয় খাগড়াছড়ি জেলা। জেলা গঠনের পূর্ববর্তী সময়ে এ অঞ্চলের নাম ছিল কার্পাস মহল।
এই অঞ্চল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শাসকগণ দ্বারা শাসিত হয়েছে। ত্রিপুরা রাজাগণ, আরাকানের শাসক ও গৌরের সুলতানগণও পর্যায়ক্রমে এই এলাকা শাসন করেছে। খাগড়াছড়ি জেলার নামকরণের ব্যাপারে তেমন কোন মতভেদ নেই। খাগড়াছড়ি মূলত একটি নদীর নাম। এই নদীর পাড়ে ছিল খাগড়া বন। পরবর্তীকালে এই খাগড়া বন পরিষ্কার করেই এখঅনে জনবসতি গড়ে উঠে। আর এর ফলে সেই সময় থেকেই এটি খাগড়াছড়ি নামে পরিচিত লাভ করে।
ভাষা হিসেবে এখানকার স্থানীয় বাঙ্গালিরা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে। তাছাড়া যে অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে তারা তাদের নিজস্ব ভাষা ব্যবহার করে। এখানকার প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা আলাদা আলাদা ধর্মীয় উৎসব পালন করে।
এই এলাকার প্রধান সম্পদ কৃষি। আর খনিজ সম্পদের কথা বলতে গেলে গ্যাস এর খনি রয়েছে। এখানে বেশ কিছু বনজ সম্পদও রয়েছে। যেমন- গর্জন, গামারী, বাঁশ, কড়ই, চাপালিশ, সেগুন, জারুল ইত্যাদি।
খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো হলো- আলুটিলা গুহা, সাজেক ভ্যালী, শতায়ু বটগাছ, লক্ষ্মীছড়ি জলপ্রপাত, দেবতার পুকুর, গুইমারা, ভগবানটিলা, দুই টিলা ও তিন টিলা, রিছাং ঝর্ণা, তৈদুছড়া ঝর্ণা, হাজাছড়া ঝর্ণা, মং রাজবাড়ি, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, মায়াবিনী লেক, মহালছড়ি হ্রদ, সিন্ধুকছড়ি পুকুর, শান্তিপুর অরণ্য কুটির, হাতি মুড়া।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.