কাতল মাছের দোপেয়াজা, সাথে আলু পটল ভাজি আর লেবু ডাল - Hosted By Ali Faisal Dip
দুপুরের খাবারটা একটু জম্পেস না হলে আমাদের চলে না। মাছে ভাতে বাঙালির খাবারের মেনুতে একটু ডাল ভাজি থাকলে তো কথাই নেই। বড় মাছের টুকরা পাতে পড়লে ঘ্রাণে যাই হোক দর্শনে রসনা তৃপ্তি পাওয়া যাবে ষোলোআনা। দুপুরের খাবারের তেমনি একটি মেনু হতে পারে কাতল মাছের দোপেয়াজা সাথে আলু পটল ভাজি আর লেবু ডাল। আহ! কখনো ট্রাই করেছেন কি?
বাঙালী চিরকালই ভোজন রসিক। তিন বেলায় ঘরে, কিংবা বাইরে নানা পদের খাবার খাওয়া এখন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে অনেকেই এখন বাইরে খেতে ভয় পায়। তাই বলে বাঙালীর ভোজন প্রেম তো আর কমে যাবে না। তাই ঘরের তৈরি খাবারেই সাজিয়ে নিন দেশি মেনু।
এই কঠিন সময়ে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই বাড়িতে থাকছে। সবার মধ্যে একটা মানসিক চাপও কাজ করে। তাই এই সময়টাতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটাও জরুরি। দেশীয় খাবারের মধ্যে নানা রকমের সবজি, ভর্তা, মাছের ঝোল বা দোপেয়াজা, ডাল রাখতে পারেন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
যেকোনোদিন কাতল মাছের দোপেয়াজা রাখতে পারেন দুপুরের মেনুতে। এটি একটি খুবই লোভনীয় খাবার। কাতল বেশ বড় মাছ তাই একটু বড় টুকরা না হলে ঠিক জমে না। মাছের বড় বড় টুকরাগুলো একটু ভেজে নিয়ে কষিয়ে দোপেয়াজা রাধলে সেই স্বাদ ভুলতে সপ্তাহ পেরিয়ে যাবে। পাতে এই মাছ থাকলে হয়তো আর কিছুই লাগবে না। তবে মাছ ভাত খাবার আগে দুপুরের খাবারে একটু সবজিও রাখা ভালো। সেক্ষেত্রে আলু-পটলের মচমচে ভাজিটি রাখতে পারেন। কুচি কুচি করে কাটা আলু পটলের মচমচে ভাজি গরম ভাতের সাথে স্বাদে অতুলনীয়। এটি খাবারের শুরুতেই আপনার মুখের রুচি আরো বাড়িয়ে দেবে।
আর একটি কথা, অনেকে আবার প্রতিদিন খাওয়ার পাতে ডাল ছাড়া কিছু ভাবতে পারেন না। মাছ, মাংস, ভাজি, ভর্তা; যাই থাক না কেন ডাল মাস্ট। ডাল ছাড়া যেন খাবার পরিপূর্ণ হয় না। শুধু অভ্যাস বা স্বাদের জন্য নয়, শরীরকে সুস্থ সবল রাখতেও ডালের গুরুত্ব অপরিসীম। ডালে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। এছাড়া শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি, ভিটামিন ও খনিজ আমরা এই ডাল থেকেই পেয়ে থাকি। ভাজি আর মাছের দোপেয়াজা খাবার পর একটু ডাল ভাত অতিরিক্ত হবে নিশ্চই। তবে পাকস্থলি টইটম্বুর করে ডাল ভাত খেলে পেট ভরে ভাত খাবার শান্তিটা পাবেন শতভাগ।
আর ডালের সাথে যদি একটু লেবু রাখেন তাহলে শরীরে ভিটামিন ‘সি’র প্রয়োজনীয়তাও মিঠবে। এই করোনাকালে যেহেতু ভিটামিন ‘সি’ বেশি খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাই প্রতিদিন খাবারে লেবু রাখাটা জরুরি।
জেনে নিন:
এবার একটু কাতল মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা যাক। কাতল মাছ আয়রনের ঘাটতি পূরন করতে সাহায্য করে। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের শরীরে থাকা ‘ওমেগা থ্রি’ ফ্যাটি এসিড দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা সারাদিন কম্পিউটার বা কোনো ধরনের ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করে, তাদের খাবার তালিকায় মাছ থাকা একরকম আবশ্যক। মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শরীরে প্রবেশ করার পর ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানসিক চাপ কমার পাশাপাশি মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতেও কার্যকরি ভূমিকা পালন করে কাতল মাছ। এই মাছ দেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়। তাই ভোজন রসিকদের রসনাবিলাস ও শরীরের পুষ্টি দুইটি জিনিসের সহজ সমাধান কাতল মাছ।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.