অষ্টগ্রাম হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে অষ্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। এই অষ্টগ্রামের অবস্থান হাওরের একদম মাঝখানে। বর্ষাকালে এই অষ্টগ্রাম হাওর ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
চারিদিকের যেখানেই চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। আর সেই পানির মধ্যে ছবির মত সুন্দর ছোট ছোট গ্রামগুলো ভেসে রয়েছে। উত্তাল বাতাসের সাথে মাঝিদের গান, চোখে পড়ার মতো জেলেদের ব্যস্ততা, ছোট ছোট নৌকায় মানুষের যাওয়া-আসা, সব কিছু মিলিয়েই চারপাশটা উপভোগ করার মতো।
তবে শুধু বর্ষাকাল নয় যেসময় পানি থাকে না তখন অন্য এক রূপে জেগে উঠে এই হাওর। আরেক ধরণের অনুভুতি পাওয়ার জন্যে শীতেও যেতে পারেন কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান অষ্টগ্রাম হাওরে।
যে সময় টুকু নৌকায় ঘুরে বেড়ানো হয় নিশ্চিত তা সবার ভালো লাগবে। হাওরের রূপ দেখা ছাড়াও অষ্টগ্রামে দেখার মত রয়েছে ৪০০ বছরের পুরনো কুতুবশাহ মসজিদ। সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যের বৈশিষ্টের পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি অষ্টগ্রাম থানা সদরে অবস্থিত।
ভরা পূর্নিমায় এই হাওরে গেলে তা হতে পারে যেকারো জন্য মনে রাখার মত একটি রাত। নৌকায় ভাসতে ভাসতে চাঁদের আলোয়া গা ভেজাতে পারেন অথবা পছন্দমতো জায়গা দেখে ক্যাম্পিং করে ফেলতে পারেন।
যেভাবে যাবেন:
এই হাওরে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ট্রেন। তবে ঢাকার গোলাপবাগ থেকে কিশোরগঞ্জগামী বাসেও যাওয়া যায়। ট্রেনে গেলে ভৈরব রেল স্টেশনে নেমে রিক্সায় ভৈরব বাজারে গিয়ে সেখান থেকে লোকাল সিএনজি করে কুলিয়ারচর যেতে হবে।
কুলিয়ারচর নেমে একটা রিক্সা বা ইজিবাইক নিয়ে চলে যান লঞ্চঘাট। লঞ্চঘাট থেকে পছন্দ মত একটা ইঞ্জিন নৌকা ঠিক করে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজন মত।
আর সড়ক পথে অষ্টগ্রাম যেতে পারেন তবে এর জন্য আপনাকে বাজিতপুর উপজেলায় আসতে হবে। ঢাকা থেকে বাজিতপুরের একটি বিআরটিসি বাস সার্ভিস আছে। বাজিতপুর বাজার থেকে ইজিবাইক বা সিএনজি যোগে চলে আসুন দিঘির পাড়। ঘাটে নৌকায় ১০ মিনিটে নদী পার হয়ে দেখতে পারবেন ইজিবাইক কিংবা মোটরসাইকেল অষ্টগ্রাম গামী যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে।
Add Reviews & Rate
You must be logged in to post a comment.